শনিবার, ১০ আগস্ট, ২০১৩

আগন্তুক

সেদিন সন্ধ্যা বেলা সবে দিয়েছি চুমুক চায়ের পেয়ালায়  
হাতে এক দৈনিক খবরের কাগজ পড়তে যাবো রোজের খবর ।
বর্ষার শুরু, প্রবল বর্ষণ চমকে ওঠা বিদ্যুতের স্বন  
যেন আজ হবে সৃষ্টির নির্বাণ ।
তখনই বেজে উঠলো সম্মুখ দারের ঘণ্টা দেখি এক অজানা আগন্তুক
চিনি না তাকে কোনদিন, মনেও পরে না ক্ষনিক ।
 কে আপনি ?

বসুন আপনি , চিনতে পারলাম না  আপনার আনন
কথা থেকে আসছেন, নাম কি ? আমার সাথে কি প্রয়োজন ?
আমি কি কোন সাহায্য করতে পারি ?
নির্লিপ্ত, ক্লান্ত ,ভাবলেশহীন, কত না বিনিদ্র রজনী অতীতবার ।

আমি শ্রাবণী এসেছি পাশের গঞ্জও থেকে বড় বিপদে পড়ে
ঘরে নাই অর্ধাঙ্গ ,শিশু দুখানি অভুক্ত গত দুই দিন ধরে।
যা কিছু ছিল সব শেষ ,তাই এলাম একটু ধান চাই
শুনেছি আপনি দয়াবান, সজ্জন যদি এক মুট ধান পাই ।

অর্ধাঙ্গ ঘরে নাই গেছে মাঝ দরিয়ায়ে ফেরে নাই এখনোও
কর্তব্যর জটিলতা তো আছেই ,তবু করতে হবে পরিতৃপ্ত ।
ফিরে গেল শ্রাবণী হল তার শঙ্কার অবকাশ
সুখী থাক এটাই ছিল আমার অভিলাষ ।


কেটে গেছে আরও ত্রিপ্রহর দেখি না তো শ্রাবণীকে কি হল তার হাল ?
নিলাম খবর পাশের গঞ্জ থেকে, ফেরে নই বহু তরী মাঝ দরিয়া থেকে
শ্রাবণীর আজ অর্ধাঙ্গ নেই শুধু আছে কিছু মধুর সৃতি বিজরিত  কাল
ফিরে এলেন তিনি আরও চারদিন বাদে হাতে সেই এক মুটও চাল ।

চোখ ছলছল, কম্পিত হাতে, শ্রাবণী বলল এলাম তোমার দান ফেরত দিতে
এবার আমার অশ্রু বাহির হল, বললাম হে ঈশ্বর তুমি কি পারো না এ ক্লেশ নিতে।
নিলাম না শ্রাবণী থেকে কিছু বললাম তোমার ঘরের অন্ন আজ আমার থেকে
শ্রাবণী বলল আমার গেছে সব হারিয়ে প্রভু ,চাই না কিছু আর তোমার থেকে।

শুধু চাই একটু শান্তি মনে,শিশু দুটি যে করতে হবে বয়ঃপ্রাপ্ত
কর্ম যজ্ঞে নামতে হবে নিজেকে , অর্ধাঙ্গ আছে সব সময় নিকটস্থ ।
শ্রাবণী তুমি আজ আর নাই আমার আগন্তুক
তুমি যে আমার মা তুমি সকলের দেবী পরম আরাধ্য রক্ষক ।

শ্রী সঞ্জয় কুমার মুখোপাধ্যায়
কলিকাতা
৯৮৩১৮৪০১৯৬

http://www.bangla-kobita.com/sanjukolm/poem20130811024837/

কালবৈশাখী - সঞ্জয় কুমার মুখোপাধ্যায়












কালবৈশাখী
- সঞ্জয় কুমার মুখোপাধ্যায়

আঁধার রাতের কালো মেঘে লুকিয়ে সকল তারা ,
স্তব্ধ বাতাস মনে করায় কি যেন এক অজানা কথা।
ওই ঘন কালো মেঘের মাঝে লুকিয়ে আছে অজানা সব ভয়,
রজনী যাবে, প্রভাত হবে, ভবিষ্যতে বার্তা ধংসময় ।

আমি অবিচল,অবিনশ্বর,তবু ক্ষণিকের অতিথি,
কত সৃষ্টির করেছি ধংস আর ডেকেছি অজান্তে বিপত্তি।
কালের গতি পারি নি আমায় করতে অবরুদ্ধ
বৈশাখে আমি প্রলয় নাচাই নিজের প্রচণ্ড গতিতে।

অপ্রতিরোধ্য, অসীম আমি নিজ ব'লে বলীয়ান্‌,
না জানি কত আশা,নিরাশা করি অন্তিম বিধান।
মানব জাতির ভাল,খারাপের আমি পরিসংখ্যান
দেশ ও দশের করেছে আমায় ভিন্ন পরিচয় প্রদান ।

কালের বশে নেই আমি,প্রকৃতির দিয়েছে প্রান 
অমোঘ বলে আমি চলমান ঋতুর উপাদান।
ধ্বংসের মাঝে চিত্রন করি অনেক সৃষ্টির কথা,
খরা,বেদনা করি অবশান রচি কত রূপকথা।

ভুলে গেলে সব সুফল কর্ম শুধু কি বিনাশকারী ?

স্বদেশ যে আমার নাম দিয়েছে আমি কালবৈশাখী ।

শুক্রবার, ৯ আগস্ট, ২০১৩

পুণ্য সত্যি

কোনটা পাপ, কোনটা পুণ্য,নাহি জানিলে কেহ
মনের কোনায়ে শুধু রাখা থাক সত্যি পথের দেও ।
জীবন কালে পাপ পুণ্যর খাতিয়ান নিয়ে জ্বালা
সব কি মেলে অসৎ পথে, শুধু মেলে চরম যন্ত্রণা  ।

নাই যদি মান, নাই যদি হুঁশ,তাইতো তুমি অমানুষ
পাপ পুণ্যর লাভ ক্ষতি থেকে তুমি তাই কাপুরুষ ।
অসৎ পথের দিশা নিয়ে নাই বা চল্লে জীবনকাল
জগতে তারা হবে অন্ধকারে ক্রমশ ম্রিয়মাণ ।

 প্রভাত আকাশে নব সূর্যে আলো করে আলোকিত
সত্যি পথে থেকে তবে পাওয়া যাবে পুণ্য চরণামৃত ।
অন্ধকার জগত থেকে মুক্তিলাভের আশা
আলোকধারা মুছে দেয় সকল অসৎ পথের ভাষা ।

সত্য,দ্রাপর,ত্রেতা,কলি বলে সব যুগের ইতিহাস
সত্যি আর সৎ মানুষের করে জীবনের জয়গান ।
মনের কাছে তাই তো বলও সত্যি থাকি চিরকাল
পাপ ছেড়ে শুধু পূর্ণ নিয়ে জীবন হোক পুণ্যবান ।

শ্রী সঞ্জয় কুমার মুখোপাধ্যায়
কলিকাতা +
৯৮৩১৮৪০১৯৬

বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট, ২০১৩

নারী

সেদিন ছিলো এক গভীর বৃষ্টির রাত 
অনেক দিন পরে শুনতে পাওয়া হটাৎ আচমকা এক চাপা কান্নার শব্দ 
যেন কেঊ অনেক কষ্টে কিছু বলবে আমাকে 
জানালা দিয়ে আসে বৃষ্টির শব্দ আর তার সাথে ভিজে পাতার গন্ধের মাদকতা । 

কে তুমি, তুমি কী সেই অবলা,অবহেলিত, অবাঞ্ছিত মানবী 

যে মাতৃ জটরে আসার সাথে সমাজের মহা মানবের ক্রোধের 
শিকার হয়ে গেয়েছিলে, পেয়েছিলে শত সহস্র যন্ত্রণা আর অপমান 
এই সভ্য সমাজের মহা মানবদের ভুল না নৃশংসতা । 

হে মহান ঈশ্বর তুমিও তো নারী 

হে মহান দেশ তুমিও তো মা। 
হে মহান নদী তুমিও তো কন্যা 
হে মহান জননী তুমিও তো নারী। 

তাহলে এত অনাচার,আবিচার কেন ? 

কাদের এত কাপুরুষতা ? 
তাহলে  সভ্যতার সাথে সকলে কী সকলে পিছিয়েছি ? 
কোথায়ে সেই মহা মানবীরা সীতা,দ্রৈপদী,চিত্রাঙ্গদা ? 

না আমি গর্বিত আজ । 

আমি নারী, আমি আদি ও আমি অন্ত ,আমি দেশ 
হে মহা মানবী আমাদের ক্ষমা করো 
তুমি সকলের মাতা আদি শক্তি । 

সঞ্জয় কুমার মুখোপাধ্যায় 

৯৮৩১৮৪০১৯৬
http://www.bangla-kobita.com/sanjukolm/poem20130513021423/

পথের দিশারী

পথের দিশারী


প্রানের কাছে শূন্যতা এক, মনের কোনে জমা

চিত্ত মোর করে হাহাকার, তার অনেক অজানা কথা ।  

কবে আমি ভাব সাগরে ডুব দেব প্রভু ভাবি

আপন করে তোমাই নিয়ে, চলার পথ চলি ।

এ পথ অসীম কণ্টকময়  দিকভ্রষ্ট বহুজন

সঠিক পথের দিশা দেখার আশায়ে সকল  গুণীজন।

তুমি আদি,তুমি অনন্ত,তুমি সর্ব জ্ঞানী

হে দয়াময় সাগর মাঝে, পথ ভ্রষ্ট আমি ।

পথ দেখাও মোরে তুমি পুরুষোত্তম জ্ঞানী

সফল হবে মানব জাতির, সকল জন্ম, কর্মবানী।

শ্রী সঞ্জয় কুমার মুখোপাধ্যায়

কলিকাতা
+৯১-৯৮৩১৮৪০১৯৬

সাম্প্রতিক লেখা কবিতা

ঘর বেঁধেছে ঝড়ের পাখি / রঙ্গনা পাল /পর্ব-৪০

ঘর বেঁধেছে ঝড়ের পাখি/ রঙ্গনা পাল / পর্ব-৪০         অতীত হোক বা বর্তমান নারী চিরকাল পুরুষের ভালোবাসায় বশ। হ্যাঁ কেউ কেউ কখনও কখনও ছলনা করে ...