সোমবার, ১৭ জুন, ২০১৯

ফুল তুলে নিতে - সঞ্জয় কুমার মুখোপাধ্যায়














ফুল তুলে নিতে
    -সঞ্জয় কুমার মুখোপাধ্যায়


হঠাৎ কোনো ঘরের এক চন্দ্রিমা অবগুণ্ঠনে,
সে এক ঝিনুকের খোলসের ভিতরে একমনে।
তাই অদ্ভুত এক ঈশ্বর এসে দাঁড়িয়েছেন,
সেই উঠোনে।

একদিকে টগর ফুলের স্তূপ,
অন্যদিকে অবরুদ্ধ অন্ধকূপ।
কার জন্য এসেছেন...
কেউ কি জানেন ?

কেউ জানে না তার কষ্ট কি করে হয় ?
জানো‌ কি ঈশ্বর এখন কেন ক্লান্ত তার দুটি পায় ?
তিনি অনেকটা পথ হেঁটেছেন।

উনি হেঁটেছেন পাহাড় থেকে সমতলে,
খাদের অতলে দুটি বিবর্ণ ফুল তুলে নিতে !
পাছে অন্ধকারে হারিয়ে না যায়...
 কাজে লাগে তার  পুজোয় ।

তবু কেন ঈশ্বর ক্লান্ত এতোটা পথ হেঁটে যেতে...
আসলে ঈশ্বরেরা এমনটিই হন..
চেষ্টা করেন যদি পারেন,গাছ থেকে পড়ে যাওয়া
দুটি ফুলকে এমনভাবেই তুলে নেন।



রবিবার, ১৬ জুন, ২০১৯

সুখের এক টুকরো হাসি - সঞ্জয় কুমার মুখোপাধ্যায়















সুখের এক টুকরো হাসি
      - সঞ্জয় কুমার মুখোপাধ্যায়


দুঃখ নদীর পাশেই একটা সবুজ গাছ,
সে অনেকটা আলোক ছায়া খেলে ।
সে দুঃখ পেয়ে দুঃখের কথা বলে..
কখনো আমায় দুঃখ দেয় !

সে অনেক কথা বলে ।
তার ওই দুঃখ মুখে...
কখনো জ্বলে উঠে সুখের হাসি ।

আমি একলা বসে থাকি নদীর পাশে,
ওই সবুজ গাছের কাছে ।
অপেক্ষায় থাকি রোজ,
কখন ফুটবে তার ওই দুঃখ মুখে-
এক টুকরো সুখের হাসি ।

ইচ্ছে অনন্ত কাল ধরে,
যেন ঐ নদীর পাশে গাছের কাছে
যেন দেখতে পাই ওই দুঃখ মুখের হাসি।



শনিবার, ১৫ জুন, ২০১৯














ঘরে ফেরা

সঞ্জয় কুমার মুখোপাধ্যায়


সবাই একদিন ঘরে ফেরে,
ঘুরে ফিরে একদিন নিজের ভুলকে দূরে ফেলে !
হয়তো বুঝতে ‌দেরী করে ।

অনেককিছুই হারিয়ে যায়,
তবু সব ভুলেকে বন্ধু করে পারি জমায়..
মনের মাঝে কত কিছু বয়ে যায়।

কিন্তু যখন ফিরে আসে,
একদিন সবকিছুই ভুলে যায় ।
কিছু ব্যথা, কিছু কথা মনে রয়ে যায়,
পরিবর্তনশীল জীবনে গা ভাসায়।

তবু একটি জীবন পোড়ে,কেবল পোড়ে,
নভস্থলে মেঘ  অঝরে বৃষ্টি কান্না হয়ে ঝরে পড়ে।


সুখের এক টুকরো হাসি -সঞ্জয় কুমার মুখোপাধ্যায়














সুখের এক টুকরো হাসি

          -সঞ্জয় কুমার মুখোপাধ্যায়


দুঃখ নদীর পাশেই একটা সবুজ গাছ,
সে অনেকটা আলোক ছায়া খেলে ।
সে দুঃখ পেয়ে দুঃখের কথা বলে..
কখনো আমায় দুঃখ দেয় !

সে অনেক কথা বলে ।
তার ওই দুঃখ মুখে...
কখনো জ্বলে উঠে সুখের হাসি ।

আমি একলা বসে থাকি নদীর পাশে,
ওই সবুজ গাছের কাছে ।
অপেক্ষায় থাকি রোজ,
কখন ফুটবে তার ওই দুঃখ মুখে-
এক টুকরো সুখের হাসি ।

ইচ্ছে অনন্ত কাল ধরে,
যেন ঐ নদীর পাশে গাছের কাছে
যেন দেখতে পাই ওই দুঃখ মুখের হাসি।


শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০১৯

ওরা মানব ঈশ্বর গরিবের সম্বল -সঞ্জয় কুমার মুখোপাধ্যায়

















ওরা মানব ঈশ্বর গরিবের সম্বল

      -সঞ্জয় কুমার মুখোপাধ্যায়

এখন এই রোগ দেখছি দিনদিন বাড়ন্ত !
এমন একটা ভাবনা যখন হছে জীবন্ত...
যে খালি ধর্মঘটের বিশ্বাস সবকিছুকে করবে শান্ত ।

ঈশ্বরের পরে যারা পূজনীয়...বলি,
রাজনীতির নাগপাশে হচ্ছেন অসহিস্নুতার বলি ।
ওরা এখন মানুষের মুখোমুখি...।।
পাশে না থেকে শুধুই সংঘাতে মুখাপেক্ষী ।

জীবন যেমন সব সময় দামি,
মৃত্যু কখনো হয় অবশ্যম্ভাবী...।
তাই কথাটা একটু বুঝুন...
আজ অপমান অবিশ্বাস নিয়ে সবাই রাস্তায় করছে আত্মপক্ষ সমর্থন।

ওরাও তো মানুষ তারপর মানব ঈশ্বর,
অন্যায় দিয়ে ছোঁড়া একটা প্রস্তর কখনো হতে পারে না
ওদের পূজার অবলম্বন।

ভুলে গেলে হবে না গরিবদের ওরাই সম্বল,
দুর্দিনের ওরাই মনোবল।

তাই সরকারি রঙ ধর্ম ছেড়ে ,
বোকা বাক্সের উসকানি ভুলে মেরে...
হোক না বন্ধ সরকারি অবহেলা –
অন্যায় আরোগ্য নিকেতনে রাজনীতির খেলা। 


বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০১৯

মেঘবৃষ্টির রূপ - সঞ্জয় কুমার মুখোপাধ্যায়

















মেঘবৃষ্টির রূপ

হারিয়ে যাওয়া এই মনের উপরে মেঘ আকস্মাৎ এসে দাঁড়ায়,
তখন তোমার প্রতিটা  কথা হয়ে ওঠে বৃষ্টির ফোঁটা,
কথাগুলো মনে আনে বর্ষাকাল,
ঝির ঝিরে চোখের জলে লিখে চলি কবিতা ।
মেঘ ভেসে বেড়ায় এক প্রান্ত হতে অপর প্রান্তে,
যেনো তাঁর মেরু বদলায় ।
অতীতের কত স্মৃতি পড়ে থাকে রাতের শয্যায়,
মন ভালোবাসার গন্ধ হাতড়ায় ।
আমি হাত বাড়িয়ে সেই মেঘবৃষ্টির রূপ দেখি,
মন মূহুর্তে হয়ে ওঠে বিরহী মেঘদূত,
মনে পড়ে থাকে ওই শ্রাবণের সন্ধ্যাটুকু ।
মনকে চেনার আগে আমরা কেন লিখিনা প্রেমের কবিতা ?
কিন্তু কেউ লিখে রেখেছে আকাশে,
সেই ভালোবাসার কবিতায় রচনা করেছে এই বৃষ্টি !
ডেকে এনেছে...তোমাকে
এই ভরা ভালবাসার আবেগে বইছে মনে দুকূল ছাপানো বর্ষা ।

সোমবার, ১০ জুন, ২০১৯

ভালোবাসা অপেক্ষায় - শ্রী সঞ্জয় কুমার মুখোপাধ্যায়














ভালোবাসা অপেক্ষায়

ভালোবাসা সব‌ই পায়,
যখন‌ই যে যেমনটা চায়।
গ্রীষ্মের প্রখর রৌদ্র দেয় কখনো উত্তাপ,
বর্ষায় মনটা ভেজায় কিছু অনুতাপ।
হেমন্তের শুকনো পাতায় ঝরে পড়ে অভিশাপ,
শীতের রুক্ষতায় হৃদয়ের জাগে সন্তাপ,
বসন্তের বাতাসের প্রবাহ দেয় প্রেম নিষ্পাপ ।
ওরা শুধু আমাকে পায় না,
তাই প্রত্যহ আমার অপেক্ষায় থাকে।
কিছু প্রস্থরভূত মনের ইচ্ছে নিয়ে,
কিছু ধূসর ধুলো মাখা স্মৃতি রাঙিয়ে...
আজ‌ও ভিতরে নানা রঙের ছবি আঁকে
ভাবে এমন ভাবে পাওয়া যাবে সবটাই !
কিন্তু আমি দেখেছি...
একটা শিকড় পাতালে গিয়ে স্থির,
অন্ধকারে আক্রান্ত হয়ে আলোর পথ ভোলে !
মগ্নতা গ্ৰাস করে সবকিছুই কাড়ে,
শুধুই সময় অপেক্ষাতে.....।



সাম্প্রতিক লেখা কবিতা

ঘর বেঁধেছে ঝড়ের পাখি / রঙ্গনা পাল /পর্ব-৪০

ঘর বেঁধেছে ঝড়ের পাখি/ রঙ্গনা পাল / পর্ব-৪০         অতীত হোক বা বর্তমান নারী চিরকাল পুরুষের ভালোবাসায় বশ। হ্যাঁ কেউ কেউ কখনও কখনও ছলনা করে ...