রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৪

আগমনী মা


পুজার দিনের মাদুলতা, ঘোচায় সকল ব্যাকুলতা । 
ওই ছোট্ট মিনি,চাঁপা,ডালি, চোখে তাদের এক আশার ডালি । 
নতুন জামা পরনে পরে হবে কি দেখা, জগতমাতার মিষ্টি মুখের 
আজও তো মা এল না ঘরে,তাড়াতাড়ি এই পুজোর দিনে 
মনে কোনায় সন্ধ্যাবেলায় উঁকি দিয়ে যায় অন্ধকারের চোরাবালি । 

আশা নিয়ে তাদের  জীবন কাটে, প্রতিটি বছর শেষ দশমী পরে   
তবু হয় না কবু তাদের নতুন জামা পরা । 
মিনি,চাঁপা,ডালির চোখে শুধুই ভাসে এক স্তব্ধ নিরাশা 
বাবুরা কেন দেয় না সময়ে মাকে, কাজের উপরি পাওনা যা পাওয়া । 

হবে না কি এবার ঠাকুর দেখা তাদের নতুন জামা পরে ? 
মা এসেছেন এবার গজের পিঠে,গমন হবে দোলায় চড়ে 
সবার গ্লানি মনে রেখে জগতমাতা যে সব হরণ করে 
জ্বলবে না কি এবার তাদের কাছে নতুন আশার প্রদীপ । 

এমন কথা ভেবে যে তাদের মনের ভিতর কান্না আসে 
বাবাটা যে তাদের অনেক কষ্টে আছে,পথ্য খেয়ে যে তাঁর বেঁচে আছে 
হবে না কি সকল কষ্ট লাঘব, কবে ঘুচবে মোদের গ্লানি ?   
জীবন কি শুধুই বার্থ আশা ,এমনই ভেবে ভাবসাগরে যখন ডুবে থাকে তারা । 


হঠাৎ এক মস্ত গাড়ি থামল ঠিক ব্রিজের নীচে,সম্মুখে তাদের আস্তানাতে   
যেন গভীর অন্ধকুপের মাঝে এক উজ্জাল প্রদীপ প্রজ্বলিত নতুন করে   
নামলেন এক অপরুপ নারী মুখে তাঁর মায়ের হাসি, 
হাতে নতুন কাপড়ের ডালি,মায়ের কাছে এসে তিনি 
তুলে দিলেন  নতুন জামা কাপড়ের ডালি । 

ওই ছোট্ট মিনি,চাঁপা,ডালি, ভাবে আছে তো কত বিত্তশালী 
তবু দেখি না তাদের মনে মায়ের ন্যায় স্নেহভাতি ।   
মানুষের মনে বেদনা ,কষ্ট সবাইকে নিয়ে পথ চলাই যে জীবনের  মুল চাবিকাঠি 
মায়ের মনের এই বিশালতা, ভুলাছে কি নতুন সব নবীনচেতা । 

কেউ যে কোনদিন সঙ্গে করে নিয়ে যাবে না যে কিছু সাথে করে 
বাস্তবের এই ধ্রুবসত্যি, ভালবাসা কে সাথে করে । 
কবে হবে সবাইকে ভালবেসে আপন করে হবে কবে নতুন পথ চলা   
ভালবাসা আর উদারতা জীবনের যে সকল সুখের সার্থকতা । 


শ্রী সঞ্জয় কুমার মুখোপাধ্যায় 
৯৮৩১৮৪০১৯৬ 
কলিকাতা

শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৪

জীবনের জয়গান

জীবনের জয়গান

অামার মনের সুখের মাঝে তোমার করুণানিদান
নতমস্তকে তব পদযুগলে করি, সুধুই যে তোমার আহবান ৷
অামার সকল ধমনীতে যে বানভাসি তোমার বানীর ধারা হে দয়াবান্‌   ৷
সঁপেছি যে মোর জীয়নকাঠী তোমার চরনে হে কৃপানিধান

সারা জীবন পাথেয় যে তোমার পথের বিধান এই অন্তঃরে৷
কালের প্রভাব কভু না দেয় কলিমা মোর মন্দিরে l

জীবনযুদ্ধে যা কিছু পাওযা সে তো নীলমাধবের দরবারে ।

নিঃসঙ্গ প্রার্থনা

নিঃসঙ্গ প্রার্থনা

 লৌহ গরাদ বেষ্টনীতে
       বন্ধ ঘরের এক কোনায়,
দিবালোকে রাত্রিযাপন
কেটেছে কত নিঃসঙ্গ প্রার্থনায় ।

বিপ্লবের ওই দিনগুলো করেছে ,যখন হৃদয় দূর্বার
       অন্ধকারে আকাশের নীচে হয়েছে কত বিনিদ্র শয়ন
রচিত হয়েছে গোপনে কত বিপ্লবের জয়গান
       গভীর রাতের চন্দ্রিমার আলো পথ দেখায় বারংবার ।

 অতীতের বাঁধন ছেড়ে দিয়ে মোরা নতুন পথ যে খুঁজি
       সবাই মিলে তাই শক্তি মন্ত্রের দীক্ষা গ্রহণ করি,
রক্তের নদী বয়ে চলেছে যে দেশের আনায় কানায়
       কত মায়ের অশ্রুজলে ভিজেছে আঁচল সন্তানহারায় ।

কালের দিনের শেষ হবে কবে বিনিদ্র রজনী যে কাটে
       নতুন দিনের স্বপ্ন চোখে শুধুই অপেক্ষা ভবিষ্যতের   ।
রক্তে ভেজা বুকের মাঝে লেখা হয়েছিলো কত ইতিহাস
       কত দুঃখের অজানা কথা বেদনার, আজ পরিহাস ।

নেই কি কোন মানব দরদী, কখন জ্বালাবে জিয়ন কাঠী
       নতুন দেশ গড়ার কাজে দেবে আন্তঃ-বাসনার বলি
স্বপ্ন যখন ভেঙ্গে গেল চোখ মেলে চেয়ে দেখি
       সামনে শুধু পরে আছে লালা গোলাপের ডালি ।

রক্তে ভেজা কাগজে শুধু একটু লেখা –
করেছিলাম চেষ্টা হতে পারি নি সফল,
হে মাতৃভূমি তোমায় যে খুব ভালবেসেছিলাম আমি
ক্ষমা করো পারি যে নি রক্ষা করতে তোমার সকল গ্লানি । 

সঞ্জয় কুমার মুখোপাধ্যায়
কলিকাতা
৯৮৩১৮৪০১৯৬
















সাম্প্রতিক লেখা কবিতা

ঘর বেঁধেছে ঝড়ের পাখি / রঙ্গনা পাল /পর্ব-৪০

ঘর বেঁধেছে ঝড়ের পাখি/ রঙ্গনা পাল / পর্ব-৪০         অতীত হোক বা বর্তমান নারী চিরকাল পুরুষের ভালোবাসায় বশ। হ্যাঁ কেউ কেউ কখনও কখনও ছলনা করে ...